Concentration deficiency syndrome

Concentration deficiency syndrome

তুলনামূলকভাবে অধিক পরিমাণে মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে –
১। স্থির বস্তু থেকে গতিশীল বস্তু,
২। সাদা-কালো বস্তু অপেক্ষা রঙিন বস্তু,
৩। স্থির রঙিন ছবি থেকে নিয়ত পরিবর্তনশীল রঙিন ছবি।
৪। নিরব কিছু অপেক্ষা সাউন্ডযুক্ত কিছু।

আর এই চারটি জিনিষ একসাথে উপস্থিত থাকে – কার্টুনসে। (গেমসেও)

৫ বছরের ছোট ছোট বাচ্চা যারা তেমন কিছুই বোঝেনা, তারা কার্টুনগুলো অনেক আগ্রহ ভরেই দেখে।
যদি কিছু নাই বোঝে তাহলে দেখে কেন?
কারণ কার্টুনস এই চারভাবে তাদের মস্তিষ্কে ঘন ঘন concentration পরিবর্তন করায়, আর মূলত বাচ্চারা এটাই এঞ্জয় করে।

এমন মস্তিষ্কগুলো পরবর্তীকালে ঘন ঘন মনোযোগ পরিবর্তনের সাথে অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং এক স্থানে মনোযোগ স্থির রাখতে পারেনা। Concentration deficiency.

ভাবুন, ছোটবেলা থেকে প্রথম ৫ বছর পর্যন্ত যেই মস্তিষ্ক কার্টুন দেখে অভ্যস্ত, হঠাৎ ৬ষ্ঠ বছরে এসে সে কীভাবে পড়তে বসবে?

  • স্থির বই, স্থির লেখা,
  • সাদা পৃষ্ঠায় কালো লেখা,
  • রঙ নেই তা কি পরিবর্তন হবে আবার,
  • মিউজিক অনুপস্থিত।

মনোযোগ স্থির থাকবে? থাকবেনা এটাই স্বাভাবিক। পড়তে পড়তে এটা নাড়ে, ওটা করে, কিছুক্ষণ পর পর উঠে চলে যেতে চায়, জোর করেও পড়তে বসানো যায়না, নানাবিধ সমস্যা।

এখনকার অনেক মায়েরা বাচ্চাকে খাওয়ানোর আর্ট জানেনা, যদিও তারা দীর্ঘ ১২বছরের উচ্চশিক্ষিতা। তো তারা যেটা করে – বাচ্চার হাতে ফোন তুলে দেয়,
টিভি জুড়ে দেয়,
অন্যদিকে মুখে খাবার input দিতে থাকে। বাচ্চা কী খাচ্ছে, কতক্ষণ চাবাচ্ছে, ঠিকমতো গিলছে কিনে এদিকে বাচ্চারও মনোযোগ নাই, আপারও মনোযোগ নাই। যেটা থেকে শ্বাস- প্রশ্বাসের সমস্যাও হতে পারে।

শুধু বাচ্চা না, মায়েদের আরো অনেক কাজকর্ম থাকে। আগে এসময় সাহায্যের জন্য শ্বাশুড়ি, মায়ের মা, গ্রামের চাচীরা এগিয়ে আসতো। এখন মায়েরা সবার থেকে একটু সেপারেট থাকতেই পছন্দ করে, ফলে দাদা-দাদীর ঘাটতি পূরণ করতে হাজির হয় টিভি, কার্টুন, গেমস এসব।

কেউ যায় ডে কেয়ার সেন্টারে আবার কেউ কাজের বুয়ার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে। অনেকে এসবে বিশ্বাস করেনা, তাদের বিশ্বাস আংরেজি কার্টুনসে।

তো পড়তে ভালো লাগেনা, পড়ায় মন বসেনা, কনসেন্ট্রেশন ডেফিসিয়েন্সি এসব সমস্যা তো আপনার বাচ্চারই হবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আপনার কারণেই হবে। আবার আপনিই পরবর্তীতে বাচ্চা পিটাবেন, মারবেন, বকবেন এই না পড়ার কারণে৷ ডাবল স্টান্ডার্ড!

অন্যদিকে আরামসে কারো কারো বাচ্চা ৭-১০ বছরেই হাফেজ হয়ে যাচ্ছে আর আপনার বাবু খাচ্চেনা, পড়িচ্চেনা, ঘুমাচ্চেনা ব্লা ব্লা, খালি গেইম খেলে আর কার্টুন দেখে। মনে রাখবেন, “সবই আপনার দোষে”, বাচ্চাটাকে স্বাভাবিক ও সুস্থ মস্তিষ্ক দিয়েই আল্লাহ তা’য়ালা আপনার কাছে পাঠিয়েছেন (দায়িত্ব সহকারে)।

তবে আর যাইহোক নিচেরগুলো কখনও সমাধান না –
১। ইসলামী কার্টুন,
২। সাদাকালো কার্টুন ইত্যাদি।

এখন সমাধান কী তা তো জানা সবারই, তবে কারো পছন্দ না – লাইফস্টাইল পরিবর্তন, জীবনব্যবস্থার সংস্কার। যিনি বাচ্চাকে শরীর দিলেন, রুহ দিলেন তিনিই ভালো জানেন, আর আমাদের জানিয়েও দিয়েছেন।
আর আমরা কেন জানি অন্য কেবলার দিকে ঝুঁকতে চায়(!) –
কার্টুন দেখলে আংরেজি শিখা যায়,
অমুক বিজ্ঞানী তমুক ডিগ্রীধারী (কিন্তু ভাড়া করা) নসিয়ত করেছেন বেশি বেশি কার্টুন দেখতে, গেইমস খেলতে বাচ্চাদের। এতে নাকি মস্তিষ্কের দ্রুত বিকাশ হয়।

আপনার যদি গেইমস আর কার্টুনসের ইন্ডাস্ট্রি থাকতো, আপনিও হয়তো কিছু বিজ্ঞানী ভাড়া করতেন। এটাই বিজনেস পলিসি, নাহলে কেউ খাবেনা।