২-১ টি ছাড়া বর্তমানের বেশিরভাগ মুসলিম রাষ্ট্র প্রায় ২০০ বছর পশ্চিমা দেশগুলোর উপনিবেশ বা কলোনি ছিল । এই ২০০ বছরে তারা আমাদের মুসলমানদের ওয়ার্ল্ডভিউ তাদের মত তৈরি করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে । (ওয়ার্ল্ডভিউ-চিন্তার কাঠামো মানে কোন চোখে আমরা দুনিয়াকে দেখি, যেমন- কাফিরের চোখে দেখলে বলব, খাও দাও ফুর্তি কর ইত্যাদি আর মুমিনের চোখে দেখলে বলব সকল কাজ এমনভাবে কর যাতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন?
দুটি ট্রেনকে একদিকে মুখ করে ছেড়ে দিলে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতে পারে, কোন একটি আগে যাবে এবং অন্যটি পরে যাবে । কিন্তু ট্রেন দুটিকে বিপরীতমুখী করে যদি বলা হয় যে গতি বাড়াও তাহলে তারা যত গতি বাড়াবে তত একে অপরের থেকে দূরে সরে যাবে । তাদের মধ্যে কোন প্রতিযোগিতা হতে পারে না। একইভাবে মুসলমানদের ওয়ার্ল্ডভিউ আর কাফেরদের ওয়ার্ল্ডভিউ এই দুই বিপরীতমুখী ট্রেনের প্রতিযোগিতার মত ।
আমাদের মুসলমানদের ওয়ার্ল্ডভিউ যেহেতু কাফেরদের ওয়ার্ল্ডভিউ থেকে আলাদা সুতরাং তারা যাকে ভাল বলে আমাদের সবসময় মিলিয়ে নিয়ে হবে যে এগুলো ইসলামের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কি না?
ইসলাম যে ওয়ার্ল্ডভিউ নিয়ে পৃথিবীকে দেখে তা হল সত্য, সার্বজনীন ও অপরিবর্তনীয় ।
সত্য কারণ তা ওহী থেকে এসেছে, আর আল্লাহ যা বলবেন তা সত্য বলবেন ।
সার্বজনীন কারণ এটা মুমিন কাফের সবার বেলায় প্রযোজ্য । মুমিন/কাফের ইসলামের নিয়ম কানুনগুলো বিশ্বাস করে পালন করলে সওয়াব পাবে আর অবিশ্বাস করেও এই আদেশ নিষেধ মেনে চললেও তার দুনিয়াবি লাভ আছে । ইংল্যান্ডের কেন্টে এক খ্রিস্টান মহিলা হিজাব নিকাব পড়েন । তার বক্তব্য হল সাধারণ কাপড় পরে বাইরে গেলে মানুষ আমার শরীর নিয়ে অনেক মন্তব্য করে, তাদের কাছে ভাল মন্তব্য পাওয়ার জন্য আমাকে লম্বা সময় নিয়ে মেকাপ করতে হয়, তারপর আবার বাড়িতে এসে এই মেকাপগুলো ছুটাতে অনেক সময় ব্যয় হয় । হিজাব নিকাব পড়লে আমার শরীর নিয়ে অন্য মানুয চিন্তা করবে বা মন্তব্য করবে এই চিন্তা আমার থাকে না ফলে আমি মানসিকভাবে অনেক শান্তি থাকি এবং মেকাপ করার সময় ও পয়সা দুটোই বেচে যায়।
অপরিবর্তনীয়- এটা যেহেতু আল্লাহর বিধান, তাই এর কোন পরিবর্তন নাই । এটা কালকেও শুদ্ধ ছিল, আজও শুদ্ধ আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত শুদ্ধ থাকবে । এটা ইহুদি, খ্রিস্টান বা কাফেরদের মত না । আমরা যখন মুসলিম হব, আমরা যখন দ্বীনদার হব তখন আমরা নিজেরদেরকে পরিবর্তন করে আল্লাহর বিধানের দিকে নিয়ে যাব, কিন্তু আল্লাহর বিধানকে আমরা কিছু করে পরিবর্তন করতে পারব না বা পরিবর্তন করতে চাইব না ।
অন্যদিকে আধুনিকতাও মনে করে তার ওয়ার্ল্ডভিউ সত্য ও সার্বজনীন । ইসলামের ওয়ার্ল্ডভিউ এর ভিত্তি হল আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাহিস সাল্লামের রিসালাত এবং ওয়াহি (কুরআন, সুন্নাহ)। এটা বলে আপনি একটি মেয়ের সাথে একাকী থাকতে পারেন না, দাড়ি শেভ করতে পারেন না, সুদ খেতে পারেন না, টাকনুর নিচে কাপড় পড়তে পারেন না ইত্যাদি ইত্যাদি ।
আধুনিকতা মানে পশ্চিমা ওয়ার্ল্ডভিউ বা পশ্চিমা সভ্যতা যে চোখে পৃথিবীকে দেখে তারা এই তিনটিকেই অস্বীকার করে । তারা মানবীয় যুক্তি, বুদ্ধি এবং ধ্যান ধারণাকে সবকিছুর ভিত্তি মনে করে । ইসলাম এইগুলোকে যথাযথ স্বীকৃতি দেয় । কিন্তু ইসলামের মত চূড়ান্ত এবং সুনিশ্চিত জ্ঞানের উৎস হল ওয়াহি । তারা ওয়াহি অস্বীকার করে কিংবা অপ্রাসঙ্গিক মনে করে । ফলে তাদের ওয়ার্ল্ডভিউ আর মুসলিমদের ওয়ার্ল্ডভিউ হল সাংঘর্ষিক ।
২০০ বছরের কলোনাইজেশন ও সকল ক্ষেত্রে কাফিরদের সিস্টেম অনুসারে চলার ফলে আধুনিক সময়ের মুসলিম হিসেবে অনেক সংশয় ও টানাপোড়ন আমাদের সামনে আসে । আমাদের তারা যখন কলোনাইজ করেছিল তখন তাদের শিক্ষা, তাদের ভেষভূষা, তাদের চিন্তা ভাবনা, তাদের সংস্কৃতি, তাদের গান, তাদের কবিতা জোর করে আমাদের ভিতর ঢুকিয়েছে । এখন আমরা মনে করছি এগুলো হল শ্রেষ্ঠ, আমাদেরগুলো আমরা ভুলে গেছি । তারা তাদের সিস্টেমের স্কুল, মিডিয়া, লেখনী ইত্যাদি দিয়ে আমাদের মগজ ধোলাই করে বুঝিয়েছে যে, তুমি মুসলিম হলে তুমি ক্ষ্যাত, তুমি কাজের না, তুমি আনস্মার্ট । আর যদি আপনি স্যুট-টাই পড়েন, বিদেশের দালালী করতে পারেন (ব্রিটিশ আমলে যারা ব্রিটিশদের দালালী করে বাঙ্গালীদের দমন নিপীড়ন করতে পেরেছিল তারা সব বড় বড় উপাধি যেমন- রায়বাহাদুর, খান বাহাদুর, চৌধুরী ইত্যাদি উপাধি পেয়েছিল) তাহলে আপনি সেরা ।
সেজন্য ওরা যা বলে তাকে আমরা সত্য বলে ধরি । তাদের বেধে দেওয়া চিন্তার ছক হতে আমরা বের হতে পারি না । যেমন মুসলিম দেশের সেনাবাহিনীতে যুক্ত হতে হলে বা পাইলট হতে হলে দাড়ি শেভ করতে হবে । এটা কোথা থেকে আমরা শিখেছি? আমরা শিখেছি যে স্মার্ট হতে হলে, আর্মি অফিসার হতে হলে, প্লেনের পাইলট হতে হলে ক্লিন শেভ হতে হবে অথচ মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম এর উল্টো বলে গেছেন (তিনি দাঁড়ি ছেড়ে দিতে বলেছেন, ছাটাই করতেও নিষেধ করেছেন)। তাহলে এগুলো আসল কোন জায়গা থেকে? তারা আমাদের এগুলো শিখিয়েছে ।
আধুনিকতার মতবাদগুলোর প্রস্তাবনা আর অনুসিদ্ধান্তগুলোকে আমাদের কাছে কমনসেন্স, স্বতঃসিদ্ধ অথবা স্বপ্রমানিত বলে মনে হয় । কমনসেন্স হল টাইট প্যান্ট পরবেন, টাকনুর নিচে কাপড় পরবেন, স্যুট টাই পরবেন । আমাদের চিন্তা আধুনিকতার ওয়ার্ল্ডভিউ এর উপর এতটাই নির্ভরশীল হয়ে গেছে যে ইসলামের সত্য ও সৌন্দর্যকে আধুনিক মুসলিম আলাদাভাবে চিনতে পারে না । ইসলামের সত্যকে তার বুঝতে হয় ‘মানবতা’, ‘অধিকার’, স্বাধীনতা, সাম্যের মত ধারণার পশ্চিমা সমীকরণের ভেতরে ফেলে। তাদেরকে বুঝানোর জন্য আমরা যুক্তি দেই ইসলাম মানুষকে, মেয়েদেরকে কত অধিকার দিয়েছে ইত্যাদি বলে । ওদের আমরা বুঝাতে চাই যে তোমরা যে অধিকারের কথা বলছ সেগুলো তো আমাদের ইসলামে আছে ।
অথচ সর্বশ্রেস্ট প্রজন্ম সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম এভাবে ইসলামকে বুঝেন নি । তারা কেয়ার করেননি ইসলাম পালন করার জন্য কে কি মনে করছে । একটি উদাহরণ দেখি – তারা যখন পারস্যের সম্রাটের দরবারে গিয়েছিলেন তখন মোটা কার্পেট তলোয়ার দিয়ে কেটে মাটিতে বসে বলেছিলেন ‘আমরা মাটির মানুষ, আমরা মাটিতে বসি’। তাদের মতে তুমি কত বড় সম্রাট তা আমরা কেয়ার করি না । আমরা আল্লাহ ও তার রাসুলকে মেনে চলি । রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন তাকে শ্রেষ্ঠ মনে করি ।
আমরা জানি মহান আল্লাহ সত্য, আমরা জানি তার দ্বীন সত্য । কিন্তু সামনে ইসলামের স্পষ্ট বিধান থাকা সত্ত্বেও আধুনিক মুসলিম বিনা প্রশ্নে সেটাকে সত্য হিসাবে গ্রহণ করতে পারছে না, কত প্রশ্ন তার মনে ।
ইসলাম ও আধুনিকতার সংঘাত আধুনিক মুসলিমের সামনে হাজির হয় কিছু প্রশ্ন আর সংশয় আকারে ।
১) ইসলাম কি ব্যক্তিস্বাধীনতা সমর্থন করে? আমরা যখন পশ্চিমাদের সাথে উঠাবসা করব তখন দেখব পশ্চিমে ব্যক্তিস্বাধীনতা আছে, তারা যেমন খুশি তেমন চলতে পারে, কাপড় পড়লেও চলে না পড়লেও চলে । ইসলাম কি এটা কখনও করতে দিবে? না কখনও করতে দিবে না?
২) ইসলাম কি বাকস্বাধীনতাকে সমর্থন করে? আপনি যা ইচ্ছা তাই কি বলতে পারেন? না পারেন না । আপনি আল্লাহ সুবহান ওয়া তাআলা ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম কে গালি দিলে আপনি মুরতাদ । ইসলামিক রাষ্ট্রে এর শাস্তি হল মৃত্যুদন্ড যদি না আপনি তাওবা করেন । তার মানে আপনি যা ইচ্ছা তাই বলতে পারেন না । বাকস্বাধীনতা সহ সব কিছুর একটা সীমা আছে । কিন্তু তারা আপনাকে বুঝাবে যে ইসলামের ভিতর এগুলোর কিছুই নাই । তাদের সীমা একধরনের আমাদের সীমা একধরণের । তারা এক জিনিসকে বেয়াদবি মনে করে আমরা অন্য জিনিসকে বেয়াদবি মনে করি । আমাদেরটা বেয়াদবি নির্ধারণ করেছেন আল্লাহ সুবহান ওয়া তাআলা, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম ও ওহী । আমাদেরটা সর্বদা সত্য, এখানে ছাড় দেওয়ার কোন অবকাশ নেই । ২০০ বছর আগে সব খ্রিস্টান মনে করত সুদ হারাম, এখন তারা মনে করে সুদ ঠিক আছে, ১০০ বছর আগে সব খ্রিস্টান মনে করত LGBT হারাম কিন্তু এখন মনে করে LGBT ঠিক আছে । আমরা ২০০ বছর আগে যা মনে করতাম এখন ও তাই মনে করি এবং মনে করতে হবে ।
৩) ইসলাম কি মুক্ত চিন্তাকে সমর্থন করে? Free Thinker রা বলে আল্লাহকে নিয়ে ভাবারই দরকার নেই , আখেরাত নিয়ে ভাবার দরকার নেই । ইসলামে এটা কি করতে পারবেন?
৪) ইসলাম কি ধর্মীয় স্বাধীনতা সমর্থন করে? না করে না ? আপনার ১০ বছরের ছেলে যদি বলে আমি নামায পড়ব না । আপনি কি তা সমর্থন করবেন । করবেন না, করা উচিত না, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম নিষেধ করেছেন এটা করতে । আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম তাকে ৭ বছরে নামাযের কথা বলতে বলেছেন আর ১০ বছর বয়সে প্রহার করতে বলেছেন।
৫) ইসলাম কি গনতন্ত্র সমর্থন করে? না করে না? গনতন্ত্র বলতে যদি বুঝেন যে ভোটাভোটি শুধু তাহলে কোন সমস্যা নেই । কিন্তু যদি মনে করেন ৫১% মানুষ যা বলবে তাই আল্লাহর আইনকে পরিবর্তন করতে পারবে তাহলে এই গণতন্ত্র ইসলাম সমর্থন করে না । কিন্তু যদি আপনি বলেন যে আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে কোন আইন হবে না তাহলে ভোটাভোটি হতে পারে । কিন্তু যদি বলেন জনগন সার্বভৌম তাহলে তা ইসলাম সমর্থন করে না ।
৬) কুরআন সুন্নাহর সব অবস্থান কি আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? আপনি কি কুরআন সুন্নাহের সব কি বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারবেন? না পারবেন না । যেমন আমাদের পায়খানার রাস্তা দিয়ে বাতাস বের হলে আমাদের অযু চলে যায় কিন্তু তখন আমরা সালাত পড়ার জন্য শুধু অযু করি, পায়খানার রাস্তা ধুই না । এটা আপনি কোন বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করবেন ।
৭) ইসলাম কি নারীবাদকে সমর্থন করে? না করে না । আপনি হয়ত বলবেন ইসলাম নারীকে অনেক অধিকার দিয়েছে। তা ঠিক কিন্তু এই অধিকার একটি কাঠামোর ভিতর দিয়েছে । ইসলাম কখনও বলে নি একজন পুরুষ এবং একজন নারী সমান । একেকজনের মর্যাদা একেক রকম কিন্তু সমান বলেন নি । একজন মহিলা তার নিজের মেয়েকে বিয়ে দিতে পারেনা, তাহলে ঐ মেয়ের বাপ ও মা কি সমান হল? অন্য ক্ষেত্রে তিনবার মায়ের কথা বলে একবার বাবার কথা বলা হয়েছে? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম এর কথা অনুযায়ী একজন মহিলা তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া ঘর হতে বের হতে পারে না । এটা কি নারীবাদ হল?
৮) ইসলাম কি সর্বাবস্থায় শান্তি এবং অহিংস পথকে সমর্থন করে? না করে না? অহিংস মতবাদ এসেছে বৌদ্ধধর্ম থেকে? একজন নির্যাতিত মহিলার চিঠির জন্য হাজ্জাজ বিন ইউসুফ পুরো সেনাবাহিনী পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, যারা পরে সিন্ধু জয় করেছিল। ঐটা কি সহিংস হল না?
এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হবার পর আধুনিক মুসলিমদের মধ্যে সাধারণত দুই ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখা যায় ।
একদল বলে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর নেতিবাচক । ইসলাম এগুলো সমর্থন করে না। কাজেই ইসলাম সত্য ধর্ম হতে পারে না । এরা ইসলাম ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে যায় ।
আরেকদল বলে, হ্যাঁ ইসলামে এগুলো সবই আছে । কারণ, যা কিছু ভালো তার সবই ইসলাম সমর্থন করে । কিন্তু এটুকু বললেই তো হবে না, প্রমাণ করতে হবে । এই আরোপিত সামঞ্জস্য প্রমাণের জন্য দ্বিতীয় দল তখন ইসলাম বিকৃত করে । ইসলামী শারিয়াহর যা কিছু আধুনিক মতবাদগুলোর সাথে খাপ খায় না, সেগুলোকে তারা বাদ দেয়ার চেষ্টা করে । কিংবা কোনভাবে ব্যাখ্যা করার কসরত করে ।
কিন্তু এই দুই ভুল পথের বাইরে তৃতীয় একটি পথ আছে- ইসলামের অবস্থানকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে, আধুনিকতার ওয়ার্ল্ডভিউয়ের ব্যাপারে সংশয়বাদের অবস্থান গ্রহণ করা । অর্থাৎ আধুনিকতার মাপকাঠিতে ইসলামকে বিচার করার বদলে আধুনিকতাকে ইসলামের চিরন্তন মাপকাঠিতে যাচাই করা । পশ্চিমা সভ্যতার অন্ধ অনুসরণ করে নিজেদের ধ্বংস করার বদলে পশ্চিমা ওয়ার্ল্ডভিউকে প্রশ্ন করতে শেখা । ইসলাম ও আধুনিকতার ওয়ার্ল্ডভিউয়ের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব আছে যে সেটা অনেকেই জানেন না আর জানলেও এটার প্রকৃতি ও বাস্তবতা সম্পর্কে আমাদের মাঝে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে ।
সংশয়বাদী বইটি পশ্চিমা ওয়ার্ল্ডভিউয়ের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ও মুখোশ খুব ভালোভাবে উন্মোচন করবে ইনশাআল্লাহ । প্রতিটি মুসলিমের এই বইটি গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়া উচিত এবং বর্ণিত বিষয়গুলো ভালোভাবে চিন্তা করা উচিত । তাহলে আল্লাহ সুবাহান ওয়া তাআলা চাইলে হয়ত আমরা পশ্চিমাদের অনুগামিতার কুফল বুঝতে পারব এবং ইসলামকে গর্বভরে আকড়ে ধরতে পারব । সাথে সাথে আমাদের পরিবার, সন্তান ও পরিচিতদের সাথে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারি যাতে তারাও সচেতন হয়ে তাদের জীবনে ভুল করা থেকে বেঁচে থাকতে পারে ।