দ্বীনী সুপারহিরো তৈরির প্রচেষ্টা

দ্বীনী সুপারহিরো তৈরির প্রচেষ্টা 

আমি সবসময়ই ছোট বাচ্চাদের হোমটিউটর, কোচিং বিষয়টা অনুৎসাহিত করি এবং আজীবন করবো ইন শা আল্লাহ। যখন বা যতদিন আমরা ভাববো আমাদের বাচ্চাদের হায়েস্ট মার্ক পেতে হবে বা এমন মার্ক্স পেতে হবে যাতে তাকে সবাই ভালো স্টুডেন্ট জানে-তখন বা ততদিন পর্যন্ত আমরা আসলে শিক্ষা কী বুঝিনি। 

যখন শুনি নার্সারি-কেজি পড়ুয়া ইসলামি স্কুলের ছেলেমেয়েরা ব্যাচ করে কুরআন শিখছে, ফোনেটিক্স শিখছে আমার কষ্ট লাগে। স্কুলে যে জিনিসটা শেখানোই হবে বা হচ্ছে সেটা আরও কোথাও পড়তে হবে কারণ “সে অন্যদের থেকে পিছিয়ে যাবে” বা “সবাই পড়ে”। আমার খুব কষ্ট লাগে আমরা প্রকৃত শিক্ষা কী তা বুঝিনি। কুরআন বারবার অনুশীলন করে আয়ত্ত্বের বিষয়ই, ছোট বয়সে করলে তো তা আরও ভালো। কিন্তু যখন স্কুলের বিষয়ই আমরা আলাদা করে শিক্ষক দেই এর মানে আমরা হয়তো ভাবছি স্কুলের প্রক্রিয়াটা যথার্থ নয়, এভাবে শিক্ষা সম্ভব না বা আমার সব কিছু দ্রুত চাই, এক্ষুনি চাই। যেহেতু আমি দুনিয়া ছেড়েছি তাই দ্বীনটা এক্ষুণি চাই, বেশি বেশি চাই! 

এই স্মার্ট ফোনের যুগে আমরা মা-বাবারা কয়েক ক্লিকে অল্প কিছু ক্লিপ দেখে ফোনেটিক্স জানতে পারবো, যদি পূর্ব জ্ঞান না থাকে। এটা কোনো রকেট সায়েন্স না যা সাধারণে বুঝবে না, বা যা না শিখলে অনেক কিছু অধরা থেকে যাবে। আমাদের বা তার আগের জেনেরেশনের বেশিরভাগই বানান মুখস্থই করেছে! এতে তাদের খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যায়নি। আমরা বুঝছি না, কোন শিক্ষা প্রয়োজন আর কোনটা সৃষ্ট প্রয়োজন! 

আমি কষ্ট পাই যখন দেখি আমরা বাংলা, বিজিএসও শিক্ষক দিয়ে পড়াই। আমরা হয়তো কিছু “দ্বীনি সুপারহিরো”ই তৈরি করতে চাচ্ছি। কিন্তু আমার জানতে হবে শিক্ষা কী। এটা একটা গ্র‍্যাজুয়াল প্রসেস। এটা খুব ধীরে হবে। হতে পারে, আপনার সন্তান একই ক্লাসে দুইবার থাকবে, হতে পারে সে যা জানে তা খাতায় লিখতে পারবে না, হতে পারে জ্ঞান আর প্রশ্নের মধ্যে সমন্বয় করা শিখতে তার দশম ক্লাস পর্যন্ত যেতে হবে। কিন্তু প্রাইভেট টিউটর এর সলিউশন না। ক্লাসে খুব ভালো করাই শিক্ষা না। অন্যদের সাথে স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করা শিক্ষা না। আপনার যে ছেলেটা আজ ম্যাথে ফেইল করে তার পক্ষেও সম্ভব কয়েক বছর পর ম্যাথ অলিম্পিয়াড স্ট্যান্ডার্ডের ম্যাথ সলভ করা। কীভাবে? আপনি তাকে জ্ঞানের রাজ্যে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলুন। সে যেন না ভাবে আমার একজন টিউটর আছে, সে আমার সব পড়া তৈরি করে গিলিয়ে দিবে! প্রাইভেট টিউটর থাকলে, প্রথমত সে নির্ভরশীল হবে, দ্বিতীয়ত সে স্কুলের টিচারের কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনবে না, একই বিষয়ে একাধিক শিক্ষক থাকায় সে তুলনা করবে। 

আমি বলবো বরং আপনারা পড়ার বইয়ের পাশাপাশি ভালো কিছু বই ওর হাতে তুলে দিন। বই কিনেই দিতে হবে তা না, ধার করে বই পড়া শিখুক, এতে অন্যের বইয়ের যত্ন বা আমানতদারি শিখবে। ভালো কিছু বড় আপু-ভাইয়া, সাথে মেশার সুযোগ করে দিন, আখলাকটাকে গুরুত্ব দিন স্কোরটা পরে। বাসায় শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখুন। সারাদিন ইউটিউবে, পত্রিকায় কোন নায়কের কয়টা বিয়ে তা নিয়ে এনালাইসিস করবেন, রিকশা ভাড়া দিয়ে এলাকার কারো নামে গীবত করতে যাবেন, আর বাচ্চা তালিবুল ইলম হবে-এমন দূরাশা করবেন কীভাবে? আমাদের আগের জেনেরেশন প্রাইভেট টিউটর পায়নি, খুব বেশি হলে “লজিং মাস্টার” পেয়েছে কেউ কেউ। কিন্তু এদের মধ্য থেকেই কেউ পৃথিবী জোড়া খ্যাতি পেয়েছে দুনিয়াবি জ্ঞানে, এর কারণ তখনও শিক্ষাটা প্রাইভেট টিউটর ট্রেন্ড আর টাকার ঝনঝনানিতে বন্দী হয়ে যায়নি। যার টাকা আছে সে দুইটা-তিনটা করে টিউটর দিবে, বাচ্চারা ঘুমানোর সময় পাবে না, স্কুলে এসে রাণিক্ষেত মুরগীর মত ঝিমাবে। কেননা, এই একই বিষয় তাকে বাসায় গিলিয়ে দেয়া হবে, মনোযোগ না দিলেও হবে! আমাদের শিক্ষাকে আমরা যে মানে নামিয়ে এনেছি এতে মনে পড়ে লেখক মুহাম্মাদ আসাদুজ্জামান ওরফে বিলেকাসার “দাগায়া দেন” লেখাটি-

“দাগায়ে দেন

অ্যামেরিকান অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভারসিটি কামরাঙ্গিচরের (এওআইইউকে) প্রথম ব্যাচের ছাত্র মাহাত ক্যামব্রিজে পিএইচডি করতে গেছে। মাহাত এওআইইউকের গর্ব, ডিন অফিসে ওর ছবি টানানো আছে।

মাহাত এসএসসি এবং এইচএসসি তে গোল্ডেন জিপিএ পাঁচ পেয়েছে। বিএসসিতেও চারে চার। যাকে বলে পারফেক্ট স্কোর। 

মাহাত পিএইচডি করছে প্রোফেসর হোয়াটসনের সাথে। তিন মাস হয়ে গেছে। কাজ তেমন কিছু হয় নি। প্রোফেসর যাই করতে বলে, মাহাত বলে দাগায়ে দেন। প্রোফেসর ব্যাপারটা ধরতে পারেন না। ব্যাপারটা বুঝার জন্য তিনি একঘণ্টা পর পর মাহাত কে কাজের কথা বলেন, মাহাত বলে দাগায়ে দেন। 

একদিন একটি বই এনে মাহাতের হাতে ধরিয়ে দেন। একটি প্রবলেম করে আনতে বললেন, মাহাত বলে দাগায়ে দেন। প্রোফেসর লাল কালি দিয়ে প্রবলেমটা দাগায়ে দিলেন। মাহাত করে আনতে পারে না। 

এরপর বই থেকে একটি বিষয় বুঝতে বললেন, মাহাত বলল দাগায়ে দেন। প্রোফেসর বই থেকে সেকশনটি লাল কালিতে দাগিয়ে দিলেন। পড়ার পর মাহাত বুঝিয়ে বলতে পারে না।

প্রোফেসর অনেক চিন্তা করলেন। সারা জীবন ছাত্রদের পিএইচডি করিয়েছেন, কেউ কোনদিন বলে নি, দাগায়ে দেন। মাহাতের সমস্যা তিনি একেবারেই ধরতে পারছেন না। পারফেক্ট জিপিএ, ভালো রিকোমেন্ডেশন লেটার নিয়ে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু কিছুই বুঝে না এবং কিছুই করতে পারছে না।

তিনি আরো ভাবলেন। একদিন মাহাতকে ডেকে বললেন, বই থেকে একটা কিছু মুখস্থ করে আসতে। মাহাত বলল, দাগায়ে দেন। প্রোফেসর লাল কালিতে দাগায়ে দিলেন। দুই ঘণ্টা পরেই মাহাত প্রোফেসরের সামনে গড়গড় করে মুখস্থ বলে গেল। 

অবশেষে প্রোফেসর বুঝতে পারেন। তিনি মাহাতের উপর ভিত্তি করে একটি আর্টিকেল লিখেন, এ ট্রিবিউট টু এওআইইউকে এডুকেশনঃ মার্ক ইট (দাগায়ে দেন)।”

আমাদের শিক্ষকদের দোষ তারা প্রাইভেট পড়াতে রাজি হন, “দাগায় দেন” ক্যাটাগরির কিছু ছাত্র তৈরিতে রাজি হন। কখনো পেটের দায়ে (কেননা আমরা স্কুল বেতন বাড়াতে রাজি না, একই টিচারকে বাসায় বেশি বেতনে রাখতে রাজি) আবার কখনো সামাজিক দায়বদ্ধতায়! সত্যি কোনো গার্জিয়ান দিতে বাধ্য হতে পারেন ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতায়। কিন্তু একটা ক্লাসে ৯০% ছাত্রের টিউটর থাকা উচিত না, ৯০% বিষয়ের প্রাইভেট টিউটর থাকাও উচিত না। 

এই যে ইদুর দৌড় প্রতিটা বিষয়ে, এটা আমাদের সামগ্রিক অস্থিরতা আর অশিক্ষা, কুশিক্ষা বা স্বল্প শিক্ষার বহিঃপ্রকাশ। আমাদের দ্বীনি সুপারহিরো বানানোর এই ইঁদুর দৌড় থামানো উচিত। নেক নিয়তে আমরা অনেক চেষ্টাই করতে পারি, কিন্তু সেই চেষ্টার পদ্ধতিটাও জানা উচিত নয় কি? 

স্বাবলম্বী ছাত্র তৈরি করায় মা বাবার করণীয় যা হতে পারে: 

উপরের লিখায় কোনোভাবে যদি বিভ্রান্তি তৈরি হয় যে মা-বাবাকেই সন্তানকে পড়াতে হবে অথবা গৃহশিক্ষক সব বিষয় পড়ালে শিক্ষককে ছোট করে দেখা যাবে! প্রথমত মা-বাবা একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর হোমওয়ার্ক চেক করবে না। মা-বাবা একজন ম্যাচিউরড শিক্ষার্থী তৈরি করবে। কীভাবে? 

মা-বাবা যা কর‍তে পারেন:

  • বাসায় জ্ঞান চর্চার পরিবেশ থাকবে। জ্ঞান অর্জন তার কাছে তিনবেলা খাওয়ার মতো একটা স্বাভাবিক বিষয় মনে হবে। 
  • ঘন ঘন আড্ডা দেখে অভ্যস্ত হবে না, কিছু শান্ত সময় থাকতে হবে পরিবারে, যে সময় সবাই সবার কাজগুলো করতে পারে। তবে আত্মীয়স্বজনের হইচইয়ের মধ্যে পড়তে পারাও জানতে হবে, এতে এক্সট্রা বারাকাহ থাকে। 
  • গীবাহ-নামীমাহ যুক্ত পরিবেশ শুধু দ্বীনি জ্ঞান না দুনিয়াবি জ্ঞান অর্জনকেও ক্ষতি করে। 
  • ইলেকট্রনিক ডিভাইস-যা একটা বাচ্চাকে অশান্ত করবে তার ব্যবহার কমাতে হবে।
  • ভালো ভালো বই পড়বে। টিনেজ থেকেই হিস্ট্রি, সায়েন্স, ম্যাথ ইত্যাদির ভালো বই বা আর্টিকেল পড়বে। বাবা, মা বা যে এই বিষয়ে জানে তার সাথে আলোচনা করবে। 
  • ভালো বন্ধু, বড় ভাই-বোন থাকবে। (রেজাল্ট দেখে বন্ধুত্ব না, ঈমান-আমল-তারবিয়্যাত দেখে বন্ধুত্ব)। ছেলেরা ছেলেদের মতো বড় হবে, অসূর্যম্পশ্যা টাইপ নয়। মেয়েরা অতিরিক্ত বহির্মুখী হয়ে নয়। এতে মানসিক বিকাশ স্বাভাবিক হবে। 
  • শিক্ষাক্ষেত্রের প্রথম এক-দুই বছর মা-বাবার যে কেউ প্রায় প্রতিদিন গাইড করবেন। এরপর আস্তে আস্তে সময়টা কমাতে হবে, সপ্তাহে দুই-তিনদিন। আস্তে আস্তে সপ্তাহে একদিন। বুঝাতে হবে এটা তার নিজের কাজ। যেমনটা মা-বাবা একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর খাইয়ে দেন না-ঠিক একইভাবে। 
  •  সন্তান জানবে যে ফেইল করলে মা-বাবা স্কুলে গিয়ে রিকুয়েস্ট করবেন না পরের ক্লাসে উঠাতে। 
  • সন্তানকে উৎসাহিত করা হবে যেন স্কুলে প্রশ্ন করে  এবং শিক্ষক থেকে পাঠ্য বিষয়বস্তু জেনে নেয়ার চেষ্টা করে।
  • Matured শিক্ষার্থী তৈরির জন্য শিক্ষার্থীকে Psychic space দিতে হবে। যত আমি বেশি তদারক করতে যাবো তত তার মন উঠে যাওয়া স্বাভাবিক। কখনো সে কোনো বিষয়ে খুব ভালো করবে। কখনো খারাপ করতে পারে। এটা জীবনের খুব স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া। এর মধ্য দিয়ে কয়েক বছরের মধ্যে তার দূর্বলতা বুঝা যাবে।
  • কোনো ছাত্রের বকাবকিতে বেশি কাজ হয়, কারো উৎসাহ উদ্দীপনায়। যার যেভাবে কাজ হয় তাকে সেভাবে ট্রিট করতে হবে। 
  • দূর্বল বিষয়ে পরিবারের যে এই বিষয়ে বেস্ট তার কাছে বেসিক ঠিক করে নিবে। বেসিক ঠিক করা মানে প্রতিদিনের হোমওয়ার্ক করা না, প্র‍্যাক্টিস করানোও না। গ্রেটার ফ্যামিলিতে অবশ্যই কেউ না কেউ থাকবে যে ঐ বিষয়ের জ্ঞান রাখে। ফ্যামিলিতে না থাকলে দ্বীনি কমিউনিটির প্রতিবেশীর কাছে পড়বে-তাও রেগুলার বেসিসে না। কেউ আমাকে পড়িয়ে দিবে, শিখিয়ে দিবে, বুঝিয়ে দিবে-এই মানসিকতাই দূর্বল ছাত্র তৈরি করে। 
  • বড় ভাই বোন ছোটজনকে পড়াবে৷ হাদিয়ার ব্যবস্থা রাখা হবে৷ এতে তার দায়িত্বশীলতা বাড়বে, মায়ের দায়িত্ব কিছুটা কমবে ইন শা আল্লাহ। ঠিক যে কাজটা আমাদের বা তার আগের জেনেরেশনে হয়েছে। 
  • মনে রাখতে হবে কেউ ভাষা আয়ত্ত্ব করে দ্রুত, কেউ গণিত-বিজ্ঞান। একজনের কাছে সব আশা করা যৌক্তিক চিন্তা না। তাই কোনো বিষয়ে খারাপ করা মানেই সব শেষ না।  
  • এর মাঝেও কেউ থাকবে যাদের পড়তে বসানো সম্ভব না, তাদের রেজাল্ট খুব বেশি ভালো হবে না। হয়তো সে পড়ে না হলেও শুনে জ্ঞান অর্জন করবে। কেউ কেউ ভালো ছাত্র হবে না, এই বাস্তবতা মানতে হবে৷ স্কোর না দেখে সাবজেক্ট নলেজ, আন্ডারস্ট্যান্ডিং ঠিক আছে কিনা বুঝতে হবে। যদিও সন্তানকে বুঝতে দেয়া  যাবে না যে স্কোর খারাপ করাটাও Completely Fine. 

প্রাইভেট টিউটর দিলে ক্ষতি কী? 

  • মূল ক্লাসে ফোকাস থাকবে না। 
  • পড়তে গিয়ে প্রশ্ন মনে আসলে সেটা এক্ষুণি এই মুহূর্তে জিজ্ঞেস করার একটা সুযোগ প্রাইভেট টিউটর। এতে সবর নষ্ট হয়, ক্লাসে প্রশ্ন থাকে না। ক্লাস বোরিং লাগবে। 
  • নির্ভরশীলতা বাড়বে
  • শিক্ষার্থী নিজে কিছু পড়তে চাইবে না, কারণ সে জানে একজন কেউ তাকে আয়ত্ত করিয়ে দিবে। 
  • নিজে বই পড়ে কিছু বুঝার ক্ষমতা নষ্ট হবে। 
  • পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলে পড়াশোনার সময় তার ভালো করতে কষ্ট হবে। 

প্রাইভেট টিউটর কখন দিবেন? (NCTB Syllabus এর শিক্ষার্থীদের জন্য। Edexcel/Cambridge syllabus-ও খুব বেশি Vary করে না)

  •  ইন্টারের স্টুডেন্ট এসএসসি রেজাল্টের পর কলেজে ভর্তি হওয়ার আগে থেকেই পড়বে। সব বিষয় কোনো কলেজেই কাভার করা হয় না। 
  • এসএসসি স্টুডেন্ট টেন থেকে পড়বে, প্র‍্যাক্টিসের জন্য। নাইনে সে বই সম্পর্কে জানবে, নিজের দক্ষতা-ঘাটতি বুঝবে৷ এসএসসির বই ৬ মাসে ভালোভাবে শেষ করা সম্ভব। 
  •  এর আগে যদি কোনো ক্লাসে দিতে হয় সে কয়েক মাসের জন্য বেসিক ক্লিয়ার করতে পড়বে, একটা দুইটা সাবজেক্টের জন্য পড়বে। গৎবাঁধা হোমওয়ার্ক করার জন্য পড়বে না৷ হোমওয়ার্ক নিজে নিজে করবে।  

এসবই মোটামুটি মানের ছাত্রদের জন্য। খুব ভালো ছাত্র বা একদম খারাপদের জন্য নয়। কারো হয়তো ছোটবেলা থেকে টিউটর লাগতে পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে কেউ একদিনে খারাপ ছাত্র হয় না। দীর্ঘদিনের সঠিক গাইডলাইনের অভাবে হয়। 

[ “সুপ্রতিষ্ঠিত” দের জীবন কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে লিখা, যাদের মা’রা তাদের পড়তে শেখানোর পর আর পড়াননি, হোমটিউটরও দেননি। সন্তানদের মেধা নষ্টকারী কোচিং-হোমটিউটরের চল ভেঙে দিন। অধিকাংশ মানুষ যা করে তা-ই সঠিক না। ]